×
Loading...

নিউক্লিয়াস-বিএলএফ-স্বাধীনতাঃ বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র - কাজী আরেফ আহমেদ by কাজী আরেফ আহমেদ

Book Information

Titleনিউক্লিয়াস-বিএলএফ-স্বাধীনতাঃ বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র - কাজী আরেফ আহমেদ
Creatorকাজী আরেফ আহমেদ
PPI600
Languageben
Mediatypetexts
SubjectMeAT-lwb
Collectionbooksbylanguage_bengali, booksbylanguage
Uploaderbdhistorylibrary
IdentifierNucleus-BLF-Bangladesh-Kazi-Aref-Ahmed
Telegram icon Share on Telegram
Download Now

Description

নিউক্লিয়াস-বিএলএফ-স্বাধীনতা: বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্রকাজী আরেফ আহমেদআইএইচএনবাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’ বাস্তবতায় রূপ পেল ’৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর। শত শত বছর ধরে পরাধীনতার গ্লানিতে একটি জাতিসত্ত্বার অস্তিত্ব প্রায় হারিয়ে যেতে যেতে প্রাণ ফিরে পেল ’৭১-এ। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে আদি ভারতীয়/হিন্দু সভ্যতার আড়ালে ঢেকে পড়া ‘বাঙালি সভ্যতা’ও বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল। প্রশস্ত হলো বাঙালির ‘তৃতীয় জাগরণে’র পথ। বাঙালি, বাংলাদেশ ও ‘বাঙালি সভ্যতা’ এখন নিজস্ব সত্তা নিয়ে এগিয়ে চলছে সামনে বিশ্ব সমাজের লক্ষ্যে। নিঃসন্দেহে মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।কিন্তু কী করে এই অসাধারণ ঘটনার বাস্তবায়ন সম্ভব হলো? প্রতিপক্ষের ভুলে বা দুর্বলতায়? কারো বদান্যতা বা কূটচালের কারণে? কারো একটি ভাষণে বা কারো বেতার ঘোষণায়? অন্যদিকে, স্বাধীনতো এলো কিন্তু এর গন্তব্য কোথায়? এটি আবার কালের করাল গ্রাসে হারিয়ে যাবে না তো? - ইত্যাকার প্রশ্ন, সন্দেহ এবং আশংকা আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়তাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে বৈকি!কাজী আরেফ আহমেদ তাঁর ‘বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র’ বইটিতে এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছেন এবং দিয়েছেনও। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠকদের গোপন সংগঠন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’এর সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী মূল বডি ‘নিউক্লিয়াস’এর তিন নায়ক ছিলেন- সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদ স্বয়ং। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী বর্ণনা করেছেন এবং তার সঙ্গে সঙ্গে এ জাতির ভবিষ্যত স্বপ্নের জালও বুনেছেন বইটিতে।ঘটনার আড়ালেও ঘটনা থাকে, যা সহজে কারো চোখে পড়ে না। যেমন ‘জয় বাংলা’ সহ স্বাধীনতার শ্লোগানমালা, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, স্বাধীনতার ইশতেহার, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ এর ডাক, প্রভৃতি সিদ্ধান্ত কে, কখন, কোথায়, কিভাবে নিয়েছিলেন এবং কি করে এসব কার্যকরী করা হয়েছিল? এসব বিষয়ে সকল বিভ্রান্তির অবসান করে গেছেন কাজী আরেফ আহমেদ তাঁর অভিজ্ঞতার বিবরণে। এ দুরূহ এবং দুর্লভ কাজটি তাঁর পক্ষে করা সম্ভব হয়েছিল কারণ তিনি প্রতিটি ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এ তথ্যগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক বা নৈর্ব্যক্তিক ইতিহাস রচনায় কাজে লাগবে। পাঠকও তাঁর কৌতুহল মিটিয়ে স্বস্তি পাবেন।এতোদিন সরকারি উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর যত লেখা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’, ‘নিউক্লিয়াস’ ও ‘বিএলএফ’ এর নাম উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু‘ বাস্তবে ‘নিউক্লিয়াস’ ও ‘বিএলএফ’ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। ১৯৬২তে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, এবং ‘৬ দফা’ ও ‘১১ দফা’ আন্দোলন এবং ’৬৯এর ‘গণঅভ্যুত্থানে’র মূলে কারা বা কোন শক্তি এককভাবে আন্দোলন-সংগ্রামের পরিকল্পনাকারী ছিল? এ বিষয়টি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়ে ব্যক্তি-বিশেষের ভূমিকাকেই ঊর্ধ্বে তুলে ধরা হয়েছে। এতোদিন এসব প্রশ্নের উত্তর না খোঁজার কারণে ’৬২ থেকে ’৭১ পর্যন্ত অগ্নিঝরা কর্মকান্ডের কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দিয়েই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস রচিত হয়েছে। সরকারী মহল এবং একচোখা লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা স্বাধীনতা ও সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসকে এমনভাবে তুলে ধরেছেন যেনো ’৭১ এর নয়মাসের যুদ্ধ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা তুচ্ছ একটা কিছু। ব্যাপারটা যেন এমন যে, নয়মাসের যুদ্ধ না হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আটকে থাকতো না। শত শত বছরের পরাধীনতার বিরুদ্ধে বাঙালির একমাত্র সফল স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন না দিয়ে তারা পাকিস্তানী ‘তাহজিব-তমুদ্দুন’ রক্ষায় সচেষ্ট ছিলেন। এই আত্মগ্লানি থেকে রক্ষা পেতে স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে তারা তোষামোদির যে ভূমিকা পালন করেছেন এবং এখনো করছেন তা আরো বেশী লজ্জাজনক। এই প্রতিপাদ্যকে মাথায় রেখেই এত বছর ধরে দেশ চলছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য ’৭১এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গটি আনা হলেও বাস্তবে ব্রিটিশ-পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক সময়কার চিন্তা-ভাবনা ও কাঠামো বজায় রেখেই স্বাধীন রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে।কাজী আরেফ আহমেদের ‘বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র’ বইটিতে এই প্রথম ’৬২ থেকে ’৭১ পর্যন্ত ঘটনা প্রবাহের সঠিক চিত্র উঠে এসেছে। নতুন প্রজন্ম এ বই থেকে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতার মূলসূত্র খুঁজে পাবেন আশা করি।- সম্পাদক